আজ কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রাম শহরে অবস্থানরত পাকবাহিনীকে ৩ দিক থেকে ঘেরাও করে তাদের হটিয়ে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এরমধ্যে র্যালি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী ধরলা নদী পাড় হয়ে কুড়িগ্রাম শহরে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ চালাতে থাকে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকবাহিনীর উপর আক্রমন চালায়। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে চলে তুমুল যুদ্ধ।
এ সময় যৌথ বাহিনী কুড়িগ্রাম শহরে অবস্থানরত পাক বাহিনীর অবস্থানের উপর বিমান হামলা চালায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকবাহিনী গুলি করতে করতে ট্রেনযোগে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করে। এরপর বীরপ্রতীক আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ওই দিন বিকাল ৪টার দিকে কুড়িগ্রাম নতুন শহরস্থ পানির ট্যাংকির উপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলায় মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য খেতাব প্রাপ্ত হয়েছেন লেঃ আবু মঈন মোঃ আসফাকুস সামাদ বীরউত্তম (মরনোত্তর), শওকত আলী বীরবিক্রম, সৈয়দ মনছুর আলী (টুংকু) বীরবিক্রম, বদরুজ্জামান বীরপ্রতীক, আব্দুল হাই সরকার বীরপ্রতীক, আব্দুল আজিজ বীরপ্রতীক এবং তারামন বিবি বীরপ্রতীক।