ময়মনসিংহের ত্রিশালে বৈলর বাজারে ব্যাটারী দোকানে খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত নামা আসামী সনাক্ত করে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ খুনিদের সনাক্ত করে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে খুনে ব্যবহরিত লাঠি ও লুন্ঠিত মোবাইল উদ্ধার করেছে। গতকাল বিদায়ী পুলিশ সুপার শেষ কর্ম দিবসে প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের একথা জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ইং ১৪/০৮/১৯ তারিখ দিবাগত রাতে ত্রিশাল থানাধীন বৈলর বাজারস্থ একদল ডাকাত পিকআপ গাড়ী যোগে একটি ব্যাটারীর দোকানে ডাকাতি করতে এসে প্রথমে একজন প্রহরীকে গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে হাত পা বেধে অদুরে ফেলে আসে এবং তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন, পনের শত টাকা, একটি প্লাস্টিকের চার্জার লাইট নিয়ে যায়।
কিছুক্ষন পর ডাকাত দল পুনরায় উক্ত বাজারে এসে পিকআপ ভ্যান হতে নেমে ব্যাটারীর দোকানের দিকে গেলে বাজারের অন্যান্য প্রহরীরা ডাকাতদের বাধা দান করে। ডাকাত সদস্যরা লাঠি দিয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে প্রহরী লাল মিয়া(৫৫), পিতা মৃত-হাফেজ আলী, ঘটনাস্থলে হত্যা করে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় ত্রিশাল থানায় খুন সহ ডাকাতি মামলা রুজু হয়। ত্রিশাল থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১৫/০৮/১৯ ইং, ধারা-৩৯৬ পেনাল কোড ।
সুত্র আরো জানায়, পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখা মামলাটি দীর্ঘ তদন্তে গত ২৭/১২/২০১৯ ইং তারিখ ঢাকা বাড্ডা এলাকা হতে ভিকটিমের লুন্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এবং ডাকাতির সাথে জড়িত দুই জন ডাকাতকে শরীয়তপুর জেলার গুসাইরহাট থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শরিয়তপুর জেলার পালং থানার আবুরা গ্রামের মোঃ রাজু মাতাব্বর(২১) ও জেলা-বরগুনা, থানা-বরগুনার, হরিদা গ্রমের রিপন খান জাফর(২৩)।
তাদের কথামত ডাকাতির ঘটনায় ব্যাবহৃত পিক আপ ভ্যান গাড়ী সহ হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত কাঠের লাঠি ও লুন্ঠিত সিমফোনি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। উক্ত ডাকাতদের ইতিমধ্যে বাজারের অন্যান্য প্রহরীরা সনাক্ত করেছে। ডাকাতদ্বয়ও ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে স্বীকার করে ।