স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া হাবুন বেপারীর মোড় থেকে মিলন নামের এক যুবককে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর ও চোখ উপরে ফেলে হত্যার চেষ্টায় অভিযোগ এনে বৃহস্প্রতিবার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলন করেছে তার পরিবার।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় আহত মিলনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি বলে তারা জানিয়েছে। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, তারা এ ব্যপারে থানায় বা তার কাছে যায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার ২৫ নভেম্বর মধ্য রাতে তাদের মিলনকে সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পাশের কলা বাগানে নির্জন স্থানে মিলনকে মান্নান, সাব্বির, আলম, তূর্য, সাইদ, বিসিন, ফরিদ, সানি, মানিকসহ ১৫/১৬ অমানুষিক নির্যাতন করে। সন্ত্রাসীরা মিলনের দেহে কাটাঁ ফুলা বহু জখম করে। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কোতোয়ালী মডেল থানার অন্তর্ভুক্ত ৩ নং ফাঁড়ির ইনচার্জ দুলাল আকন্দ বলেন, “আহত মিলনের নামে ৪ টি মামলার ওয়ারেন্ট ও ৯ টি মামলা রয়েছে।
মিলনের পরিবার জানিয়েছে আটকের একদিন পর তার হেফাজতে থাকা অস্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার সংখা ১০। পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে, যারা মিলনকে ধরে নিয়েছিল তাদের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।
সাংবাদিক সন্মেলনে মিলনের পরিবার জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা তাদের ১০/১২ টি পরিবার এর জিন্মী করে রেখেছে। তাদেরকে বাসা বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছেনা। সব সময় খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। তাদের শিশুরাও বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেনা। তারা এ সকল ঘটনার আইনি প্রতিকার চায়। আইন সবার জন্য সমান।
ঘটনা সম্পর্কে আহত মিলনের মা ফরিদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, পুর্ব শত্রæতার জের ধরে আমার ছেলেকে সোমবার রাত ১২ টার দিকে তুলি নিয়ে যায় নিহত আজাদ শেখের স্ত্রী দিলরুবা, শেখ সাব্বির, আলম, মানিক, তুর্জ, দিনেশ, মান্নান, হান্নানসহ তার লোকজন। আকুয়ার কলাবাগান নামকস্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টায় ব্যাপক মারধর চালায়।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে ইট দিয়ে পিটিয়ে দুই পায়ে মারাত্বক আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিদ্রযুক্ত আঘাত করে। আমার ছেলের চোখ উপরে ফেলার চেষ্টা চালায়। পুলিশ আমাদের অভিযোগ গ্রহন করেনি। ফলে আমাদের উপর আত্যাচার বেড়ে গেছে। অসহায়ের মত আতংকে জীবনযাপন করছি।
এলাকার সাধারন মানুষ জানিয়েছে, আজাদ শেখ খুন হওয়ার পর থেকে উভয় পরিবারের মাঝে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। উভয় পরিবারের মাঝে প্রতিশোধ মূলক আচারন লক্ষ্য করা যায়। আইনের সুযোগ সবারই আছে। এ থেকে যেন কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।