নদীমাতৃক বাংলাদেশের সর্বত্রই নদ-নদী জালের মত বিস্তৃত ।আবহাওয়া অনুকূল উর্বর মাটি এ সবই স্রষ্টার অমূল্য দান ।ঠিক তেমনই তিস্তা বিধৌত জনপদ হলো নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়া ইউনিয়নের বাইশ পুকুর গ্রাম ।তিস্তা নদী ভারতের সিকিম প্রদেশ থেকে ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতনাই জিরো পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নীলফামারী, লালমনিরহাট সহ বৃহত্তর রংপুর বিভাগে বিস্তৃত।
তিস্তা তীরবর্তী বাইশপুকুর গ্রামের চর অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম পেশা মৎস্য আহরণ ।গ্রামের মানুষ নদী থেকে সংগৃহীত মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরী করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে । কিন্তু বর্তমানে অস্থীতিশীল বাজার ব্যবস্থাপনায় পথে বসেছে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ।
কথা হলো করছ উদ্দীন (56) বেপারির সাথে ।তিনি বলে আমাদের এই অঞ্চলে আমার প্রায় 15/20জন শুঁটকি ব্যবসায়ী আছি দীর্ঘ 25 বছর যাবত এই ব্যবসা করছি ।আমার পূর্ব পুরুষের এই পেশা লোকসান হলেও ছাড়তে মায়া লাগে তাই আজ আমরা আশা করছি বাজার ব্যাবস্থা আগের মতো সুস্থ হবে ।
বাইশ পুকুর গ্রামে নাজমা 36, সাহেদা 30, শরিফা 27, লায়লা 43, তাহেরা45, পারুল 45 সহ আরও অনেকে শুঁটকি মাছের কাজ করছে । প্রতিদিন 150টাকা মজুরির কাজ করছে তারা ।স্বামীর আয়ের সাথে তাদের সামান্য মজুরি পরিবারের সদস্যদের অনেক টা সহায়ক । কিন্তু বাজার ব্যাবস্থা মন্দা হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অনেকে,শুঁটকি ব্যবসায়ী রইস মিয়া 47 বলেন আগে আমাদের গ্রামের শুঁটকি ঢাকায় পাঠালে আমরা যথেষ্ট লাভ করতে পারতাম কিন্তু এখন আর তেমন লাভ হয় না।অনেকে ব্যবসা ছেড়েছে ।
ফলে গ্রামে মহিলাদের কাজের চাহিদা অনেক কমেছে ।কাজ হারিয়ে লোকসান দিয়ে পথে বসেছে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ।মৎস্য জীবি মানুষ অনেক আশা নিয়ে আজ অপেক্ষা করছে সেই সু-দিনের ।যখন কর্ম চঞ্চল ও আনন্দ ঘন জীবন কাটত বাইশ পুকুর গ্রামে তিস্তা চর অঞ্চলের মানুষের ।