আবদুল কাদির, গৌরীপুর:
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের মুখুরিয়া গ্রামে কবরস্থানের জন্য নির্ধারিত তিন শতাংশ জমি নিয়ে মুন্তাজ আলির সাথে বিরোধ চলছিলো প্রতিবেশী সিদ্দিকুর রহমান গংদের।
এই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার সিদ্দিকুর রহমান গং হামলা চালায় মুন্তাজ আলির ছেলে তিন ছেলে স্বপন মিয়া, মিলন মিয়া ও রিপন মিয়ার উপর। হামলায় আহত স্বপন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বপনের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মুন্তাজ আলির পরিবারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো প্রতিবেশী সিদ্দিকুর রহমান গংদের। মুন্তাজ আলির পৈতৃক পাওয়া ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে ২২ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেয় সিদ্দিকুর রহমানদের কাছে। বাকি ৩ শতাংশ জমি রেখে দেন পারিবারিক কবরস্থান করার জন্য। কিন্তু সিদ্দিকুর রহমানরা এই ৩ শতাংশ জমি ছাড়তে ইচ্ছুক না, তাদের পুরোটাই প্রয়োজন।
এই বিরোধের জের ধরে গত ৩০ অক্টোবর প্রতিপক্ষের লোকজন মুন্তাজ আলির পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট করে। এ ঘটনায় মুন্তাজ আলির পুত্র বধু হ্যাপী আক্তার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় প্রতিপক্ষের ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এদিকে মামলার আসামিরা জামিনে এসে গত শুক্রবার মুন্তাজ আলির পরিবারের ওপর ফের হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত স্বপন মিয়া রোববার বিকেলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে গুরুতর আহত মো. মিলন মিয়া (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও মো. রিপন মিয়া (২৩) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মুন্তাজ আলি ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় জানান, হেরা জামিনে আয়া আমরার উফরে হিররেয়াবার হামলা করে। সকালে চা খাওনের লাইগ্গেয়া আমার তিন ছেরা বাজারো যায়। চা খাওনের সময় আমার ছেরাইনরে কুবাইছে। অতঅত মাইনষ্যের সামনে আমার ছেরারে কুবায়া মারছে, কেউ ফিরাইছে না।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ মামলা দেয়নি।