গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রতারক চক্র জ্বীনের বাদশা আলেক উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গোবিন্দগঞ্জ থানার ১৪/১২/২০১৯ইং মামলা নং ২১ এর সূত্রে জানা গেছে, জ্বীনের বাদশার সদস্য আলেক উদ্দিন গভীর রাতে ফোন করেন জয়পুরহাটের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে ভাগ্যবতি বলে ধন দৌলত ও মুল্যবান সম্পদ সোনা, রুপা, হীরা, জহরত দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সোনার পুতুল দেয়ার কথা বলে গত ৭/১২/২০১৯ইং রাত ৯.০০টায় গোবিন্দগঞ্জ মায়ামনি হোটেলের টয়লেটে গলার হার নিয়ে একটি লাল কাপড়ে মোড়ানো পুতুল দেয়।
এবং পুতুলটি ঘরের উত্তর পশ্চিম কোনে পুতে রাখবে তাহলে মুল্যবান সম্পদের (৭টি হাড়ী) বাড়ীর উঠানে চলে আসবে। পরের দিন আবার আল্লাহর অলী দরবেশ সেজে ফোন করলে গরু বিক্রি করা ৬৫,০০০ হজার টাকা গোবিন্দগঞ্জ মায়ামনি হটেলের টয়লেটে বহকের মাধ্যমে গ্রহন করে।
পরের দিন আবার গভীর রাতে ফোন করে বলে আল্লাহর অলী তোমার উপহারে খুশি নয় জ্বীনদের খুশি করতে হলে (দুই লাখ) টাকা দিতে হবে তাহলে আপনা আপনি ৭ হাড়ী হীরা জহরত তাদের বাড়ীতে চলে আসবে, না দিলে নাকে মুখে রক্ত উঠে মারা যাবে। এতে সরল বিশ্বাস ১০/১২/২০১৯ইং তারিখে আপেলের ঠোঙ্গার মধ্যে এক লাখ টাকা দেয়।
এরপর আবার ১৩/১২/২০১৯ইং তারিখে এক লাখ টাকা প্রদান করবে জানায়। পরে এ বিষয়ে তার প্রতিবেশী জানতে পারে তাদের এসব ভূয়া। তখন শাহানাজ এর পিতা, মাতা জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগ করেন। ১৩ তারিখ আনুমানিক ৪.০০ ঘটিকায় এক লাখ টাকা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় রিক্সায় বসা লোকটি হাত বাড়ালে হাতে নাতে ধরে জয়পুরহাট থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
পরে ওই জ্বীনের বাদশার তথ্যমতে অপর সদস্য আলেক উদ্দিনকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে।গ্রেফতারকৃত আলেক উদ্দিন জুমারঘর এলাকার উত্তর সিংগা গ্রামের।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান প্রতারক চক্রের জ্বীনের বাদশা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।