ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া রোডস্থ নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমানের সাড়ে পাচ শতাংশ ভুমিতে ৬তলা ভবন নিমার্ণে চুক্তি করে কাজ না করে কথিত ঠিকাদার কাজী বাবু ৪৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ প্রতারনার সাথে কাজীর ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত কথিত আওয়ামীলীগ পরিচয়ধারী স্বপ্না খন্দকার ও তার স্বামী রানা এবং স্বামীর মামাতো ভাই অপু জড়িত রয়েছে।
আজ শনিবার বিকাল ৫টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়নে ভুক্তভোগী ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। তিনি প্রতারনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে তিনি যে সকল অভিযোগ উপস্থাপন করেন তা হলো স্বপ্না খন্দকারের প্ররোচনায় তার পাতানো ভাই কাজী গোলাম মোস্তফা ওরফে কাজী বাবু ওরফে মুক্তাকে বিল্ডিং নিমার্ণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেন। তার সাথে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়।
চুক্তিপত্রে ৭০ফুট ১৮ ইঞ্চি ডায়ার ৬টি করে রড দিয়ে ৪৪টি পাইল করার কথা ছিল গত ৩১/০৮/২০১৮ইং হতে শুরু করে কৌশলে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। নামে মাত্র নিম্মমানের সামান্য কাজ করে ওরা সরে দাড়ায়। এখন কাজও করছে না টাকা ও দিচ্ছে না। এ প্রতারক চক্রটি এখন উল্টো নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ এবং কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক জিডি করা হয়েছে।
আব্দুর রহমান এর জামাতার কাছ থেকে প্রতারক চক্র বলপূর্বক ১০ লাখ টাকার একটি চেক নিয়েছে। চেকের ঘটনায়ও থানায় জিডি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধ অসহায় ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমান তার অসহায়ত্বে বনর্না করতে গিয়ে কেদে ফেলেন।