রাজশাহীর মোহনপুরে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের দাবীতে জেলাপ্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ফসলহানি ও জলাবদ্ধতারোধে গত রোববার লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন কেশরহাট পৌর এলাকার মৃত সামার ছেলে আবদুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলার কেশরহাট পৌর এলাকার জেএল-১১০ গোপইল মৌজায় ফসলি জমিতে একটি পুকুর খনন শুরু করেছেন গোপইল গ্রামের আলহাজ্ব সুবীরের ছেলে আবদুস সালাম ও আলাম, মৃত হাবিবুল্লা বাহারের ছেলে আতাউর রহমান, মৃত মজের আলীর ছেলে রফিকসহ ৫/৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি।
স্থানীয় জনসাধারণের বাধা উপক্ষো করে পুকুর কাটছেন তারা। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে পুকুর কাটার জন্য উঠতি ফসল আলু, পেঁয়াজ, রোসুন, শরিষা ক্ষেত বিনস্ট করে সেখানে এক্সিবেটর মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে কৃষকদের কোনোপ্রকার ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়নি।
এছাড়াও ওনস্থানে বিশাল আয়োতনের পুকুটি খনন করা হলে ব্যপক ফসলহানিসহ পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এখন নস্ট হবে প্রায় অর্ধশতাধিক বিঘা জমির ফসল। অন্যদিকে বর্ষার পানিতে তলিয়ে যাবে শত শত বিঘা জমির ফসলসহ ঘরবাড়ী। এজন্য তদন্তপুর্বক দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।
আবদুর রাজ্জাক নামের এক অভিযোগকারি বলেন তারা কৃষকদের বাধা উপেক্ষা করে জোর করে অনেক ফসল নস্ট করে মেশিন নিয়ে গেছে। এমন কি জমির মালিকদের সাথে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই পুকুর খনন করছে। আমাদের এখানে পুকুর কাটা হলে শত শত জমির ফসল ডুবে বিনস্ট হবে। পানিবন্দী হবে ঘরবাড়ি ও পান বরজ। আমি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে পুকুর খনন বন্ধের দাবীতে ডিসি স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগটি দিয়েছি।
আবদুল লতিফ নামে একজন কৃষক জানান, মানুষ পুকুর খননে মত্ত হয়ে পড়েছে। কেউ দেখছে না বাড়িঘর, ফসল। কেউ ভাবছে না মানুষের কথা ও নিজেদের ভবিষ্যত। বরেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপিত গভীর নলকূপের স্কীম, আউটলিটার ও ড্রেনেজ উপড়ে ফেলে পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুর খনন বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানাচ্ছি।
রাজশাহী জেলাপ্রশাসক হামিদুল হক বলেন, স্থানীয় প্রশাসন মাঠে নেমেছে। অবৈধ পুকুর খননে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।