মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা পুলিশের বীর সদস্যদের রয়েছে অনন্য আত্মত্যাগ। দেশমাতৃকার শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পুলিশ সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। কর্মব্যস্ততার কঠোর বেড়াজালে থেকেও চেতনা ও আদর্শের অনুভূতি থেকেই নিজ এলাকার মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করে ‘আয়লা ও বিদ্যানগর গণহত্যার’ ইতিহাস লিখলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন পিপিএম ।
দেশবরেণ্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের তত্ত্বাবধানে ও গবেষক মামুন সিদ্দিকীর সম্পাদনায়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র, ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটিতে লেখক তুলে ধরেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি, আয়লা- বিদ্যানগর গ্রামের গণহত্যার বিবরন, শহীদদের সনাক্ত, হত্যাকারীদের পরিচয় ও তাদের বিচার প্রক্রিয়া, শহীদ পরিবারের বর্তমান অবস্থা ও তাদের জীবন সংগ্রাম, গণহত্যার বিশ্লেষণী মূল্যায়ন সহ সামগ্রিকভাবে একাত্তরের প্রকৃত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেই তিনি তার দায়িত্ব শেষ করেননি বরং শহীদদের কবর এবং স্মৃতি সংরক্ষণে নিজেই নিয়েছেন প্রশংসনীয় উদ্যোগে। রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকের সম্মানি ভাতা উৎসর্গ করে দিয়েছেন স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের মহতী উদ্যোগে।
ইতোমধ্যে শহীদ মিয়া হোসেন এবং শহীদ হবিউল্লাহর কবর অভিন্ন নকশায় তৈরি করে দিয়েছেন। অন্যান্যদের গুলো পর্যায়ক্রমে করে দিবেন বলে তিনি প্রত্যয়ী। নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেমিক একজন পুলিশ কর্মকর্তার এই সৃজনশীল উদ্যোগ আমাদের নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তানভীর সালেহীন ইমন পিপিএম বর্তমানে কুমিল্লা জেলায় কর্মরত। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি জাতীয় বিতার্কিক ছিলেন।