মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে ১৭ দিন ধরে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকার কারনে ১৭ই ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টায় কলেজের ২য় শিফটের ২ হাজার ছ্ত্রা-ছাত্রী ইনস্টিটিউট চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
কলেজের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী মোঃ মনির হোসেন ও অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, সরকার পে-স্কেল বদলে দেবার কারণে ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী যে শিক্ষক ২য় শিফট এর সম্মানী বাবদ তার মুল বেতন ২২ হাজার টাকার স্কেলের ৫০ শতাংশ হিসাবে ১১ হাজার টাকা পাচ্ছিলেন। তা এখন ২০০৯ সালের স্কেল অনুযায়ী মাত্র ৫ হাজার ৫’শ টাকা ধার্য হয়েছে।
অথচ ২য় শিফট এ একজন শিক্ষককে প্রথম শিফট এর মতই দায়িত্ব পালন করতে হয়। এই শিফট এ পাঠদান থাকার কারণে একজন শিক্ষককে সকাল ৮ টায় এসে সন্ধ্যা ৬.৩০টায় বাড়ি ফিরতে হয়। শুধু ১ম শিফট এর পাঠ দান করলে যা দুপুর ১ টায় শেষ হতো। শিক্ষকরা বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে ২০১৫ সালের স্কেলে সম্মানী বহাল নতুবা ২য় শিফট এর জন্য পৃথক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
ছ্ত্রা-ছাত্রীরা জানায়, ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী সম্মানী ভাতা পুর্নবহালের দাবীতে গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৪২ জন শিক্ষক কেন্দ্রীয় কর্মসুচি অনুযায়ী এ কর্ম বিরতিতে রয়েছেন। তাদের কর্মবিরতিতে গত ১৭ দিন ধরে ২য় শিফট এর সব শ্রেণীর পাঠ দান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে ২য় শিফট এর শিক্ষার্থীরা। এভাবে ক্লাস না চললে পরীক্ষায় তারা ভাল রেজাল্ট করতে পারবে না।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা সৈয়দ খালিদ হাসান রুবেল, আবু হুরায়রা, অমিতসহ প্রমুখ। বক্তারা বলে নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করা নিয়ে আমরা সমস্ত শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছি। দ্রুত এটির নিরসনের দাবি জানায়ি যথাযথ কতৃপক্ষের দৃর্ষ্টির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক।