মাগুরায় আজ রবিবার ৮ই মার্চ ২০২০ আনুমানিক দুপুর ১ টার সময় মাগুরা হাজ্বী রোডের, কলেজ পাড়ায় মৃত শাহাদাত হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুফিয়া বেগম তাঁর তিন বছরের কন্যা সন্তান মাহী কে গলা টিপে হত্যা করার পর পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে তার ব্যবহারকৃত গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে বসবাসের ঘর ও তার মেয়েকে পোড়ানোর চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় এলাকার স্থানীয় লোকজন ভাড়াটিয়ার তিন তলার বাসায় আগুনের ধোঁয়া দেখে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাহীকে কে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ পরীক্ষিত পাল তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে মাহিকে তার নিজ বাসায় ফিরে নিয়ে যাওয়া হয় পরবর্তীতে মাগুরা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
মাহির মা সুফিয়া সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন যে তিনি তার ৩ বছরের কন্যা সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। কী কারণে হত্যা করেছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নিজে ক্যান্সারের রোগী আমি নিজেও বাঁচব না আমার মেয়েকেও রাখব না এ জন্যই আমি আমার কন্যাকে হত্যা করেছি। তবে এ ব্যাপারে আমি কাউকে দোষারোপ করব না। উল্লেখ্য সুফিয়ার দুই স্বামীর মধ্যে মাহির বাবা মনু মিয়া তার ২য় স্বামী এবং ১ম পক্ষের স্বামী আবু তালেবের ২টি কন্যা সন্তান আছে। প্রথম পক্ষের স্বামীর কন্যা সন্তান হচ্ছেন তানজিয়া অনার্সে পড়ে আর নাজিয়া ইন্টারমিড়িয়েট পড়ে।
১ম পক্ষের স্বামীর দুই কন্যা সন্তাান বলেন তারা তাদের বোনকে দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করে আসছেন।
সুফিয়া ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানার দক্ষিণ খাজুরা গ্রামের সাহাজ উদ্দিনের মেয়ে। ২০০০ সাল থেকে মাগুরা শহরে বসবাস করে আসছেন তিনি। সুফিয়া বলেন তার ২য় স্বামী মনু মিয়া তার কন্যা সন্তান মাহির বয়স যখন ২ মাস তখন তার সাথে ডিভোর্স হয় এবং ২য় পক্ষের স্বামী মনু মিয়া মাগুরা পৌরসভার লক্ষ্মীকান্দর গ্রামে বসবাস করেন। ১ম স্বামী আবু তালেব ও ২য় স্বামী মনুমিয়ার সাথে সুফিয়ার কোনও যোগাযোগ নেই। স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন সুফিয়া একজন মাদকসেবী।
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার ওসি তদন্ত সাইদুর রহমান সাপ্তাহিক অভিযোগকে বলেন প্রাথমিকভাবে এটা জানা গেছে যে সুফিয়া তার মেয়ে মাহিকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তবে কি কারনে হত্যা করেছে তা এখনো পরিস্কার নয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। নিহত মাহীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।