মাগুরায় দিন দিন বেড়েই চলছে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাদকের বণিজ্য। ইয়াবার ব্যবহার কিছুটা কমলেও বেড়ে গেছে ‘পেথিডিন” এবং “অপেফিন”এর ব্যবহার। মাগুরা শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ও কাউন্সিল পাড়ার অলিতে-গলিতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে শতশত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ এবং খোসা।
মূলত মাগুরা সদর হাসপাতাল গেটের কিছু অসাধু ওষুধ বিক্রেতা দেদারছে মাদকসেবীদের কাছে বিনা প্রেসক্রিপশনে এই ওষুধগুলো বিক্রি করছেন, এবং মাদকসেবীরা যত্রতত্র ও প্রকাশ্যে নিজের হাতে নিজেই ইনজেকশন পুশ করছে। এই মাদকসেবিদের কারণে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ অন্যদিকে এলাকায় চুরি ও ডাকাতি বেড়ে যাচ্ছে।
বারবার এলাকাবাসীরা ও ওষুধ বিক্রেতা সমিতির নিষেধ করা সত্ত্বেও এই ফার্মেসি মালিকগণকে কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না। এই ফার্মেসিগুলো হচ্ছে সাহা ফার্মেসি, আফজাল ফার্মেসি, বিশ্বাস ফার্মেসী ও আমিরুল ফার্মেসি। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, এই ফার্মেসিগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকসেবীদের ভিড় লেগেই থাকে। এই অসাধু ওষুধ বিক্রেতারা ফার্মেসির আড়ালে ও অধিক মুনাফা লাভের আশায় মাদক ব্যবসায় বেশি ব্যস্ত।
শুক্রবার ৬ ই মার্চ রাত ৮টার দিকে মাগুরা হাসপাতাল ও কাউন্সিল পাড়ার নাগরিক কমিটির উদ্যোগে একটি সভা আয়যোন করা হয়। এতে কাউন্সিল পাড়া ও হাসপাতালে পাড়ার বিশিষ্ট নাগরিকগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট সায়েদ হাসান টগর, এ্যাডভোকেট গোলাম নবী, এ্যাডভোকেট শাহিনা আক্তার ডেইলি, এ্যাডভোকেট রিপন মাহমুদ, শরিফ হুমায়ন কবির, মোঃ দেলওয়ার হোসেন ও আশরাফুল আলমসহ প্রমুখ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সম্মানিত নাগরিকগণরা “মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহার ও চুরি ডাকাতি রোধে একযোগে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং অবিলম্বে এলাকা থেকে মাদকসেবীদের উৎখাত ও অসাধু ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে সম্মিলিতভাবে আবেদন জানাবেন।”
বিষয়টি নিয়ে মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে এর আগেও কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে কার্যত তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।