বান্দরবানে যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধুর আত্নহত্যা।
মৃতঃ গৃহবধুর নাম রিনা আক্তার (২০) স্বামীঃ মোঃ জাহেদুল ইসলাম তারা বর্তমানে বান্দরবান জেলা সদরের ৬নং ওয়ার্ড বনরুপা পাড়ার বাসিন্দা।
বান্দরবান জেলা সদরের ৬নং ওয়ার্ড বনরুপা পাড়ার ২নং গলি মোহাম্মদ আলীর ভাড়া বাসায় চিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে এ আত্নহত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায় তাদের সংসারে প্রাই ঝগড়া ঝাঁটি হত।আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চা দেওয়ার বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মৃত রিনা আক্তারকে তার স্বামী জাহেদ মারধর করে।তারই জেরে হয়তো গলায় ফাঁস দিয়ে রিনা আক্তার আত্নহত্যা করেন।
মৃত রিনা আক্তারের পিতাঃ আব্দুল গফুর জানান ২ বছর পূর্বে আমার মেয়ে ও জাহেদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়।সেই থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকার জন্য প্রতিনিয়ত শাররিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। আমি গরীব টমটম চালক আমার সাধ্যমত টাকা দিয়ে যতটুকু সম্ভব সহযোগীতা করেছি।সর্বশেষ মেয়ের কান্নাকাটি সয্য করতে না পেরে ওয়াপদা ব্রীজ সংলগ্ন শক্তি এনজিও থেকে একলক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি মেয়ে জামাইকে দেওয়ার জন্য। টাকা গুলো দিয়ে দিলে হয়তো মেয়েটা বেঁচে থাকত। আর টাকার জন্যই আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে মানুষ রুপি জানোয়ার জাহেদ।
বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান মৃত রিনা আক্তারের স্বামী মোঃ জাহেদুল ইসলামকে আটক করে রিনা আক্তারের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।