পাইরা নদীর তীরের মাটি কেটে তৈরি হচ্ছে ইট। সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবাদি জমিতেই গড়ে তোলা হচ্ছে এসব ইটের ভাটা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার নয় নংকলসকাঠী ইউনিয়নের এরকম একাধিক অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটলেও পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে প্রকাশ্যেই ভেকু মেশিন বা মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে পাইরা ওতুলাতলী নদীর ভাঙন এলাকায় নদীর মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। , উপজেলা প্রশাসন সাংবাদিকসহ সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি।
অপরদিকে ভেকু মেশিন দিয়ে নদী তীরের মাটি কেটে ইট তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছে শ্রমিকরা। ভাটা মালিককে না পাওয়া গেলেও ভাটার ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া সোহেল জানান, সরকারকে ভ্যাট দিয়ে ইট পোড়াচ্ছি। অবৈধ হলে সরকার ভ্যাট নেয় কেন। আমরা এই নদী পাড়ের ভেঙে পরা মাটি মেশিন দিয়ে তুলে ইট তৈরি করছি।
ভেকু মেশিন চালক মোকলেছ জানান, যতটা সম্ভব নদীর ভিতরের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে এনে ইট তৈরি করার জন্য জমা করছি। নদীর পাড়তো ভেঙেই যাচ্ছে। আমরা কাটলে ক্ষতি কী। ভাটা পার্শ্ববর্তী স’মিলে কর্মরত শ্রমিক রশিদ বলেন, এই ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ কাটার জন্য এ স’মিল বসানো হয়েছে।
এ ভাটার মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, ভেকু মেশিন দিয়ে যে মাটি কাটা হচ্ছে তা আমাদের দলিলকৃত জায়গা। এছাড়া আমি যেভাবে ইট পোড়াচ্ছি দেশের সব জেলার চিত্র একই।
কলসকাঠী ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক মনু তালুকদার , নদী তীরের এই স্থানে এর আগে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩ কিলোমিটারে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বাঁধের মাটি কেটে এই ইট ভাটায় ব্যবহার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আনজুমান্নেছা জানান, কলসকাঠী এলাকার ইটভাটায় একবার অভিযান পরিচালনা করে এসেছি। ভাটায় নদীর চর ও কৃষি জমির মাটি কেটে ইট তৈরির অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।