ফুলবাড়ীর ঐতিহাসিক ১১হাত লম্বা ফকিরের কুঠি মাযার
রতি কান্ত রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ফকিরের নামে গ্রামের নাম ফকিরের কুঠি। ১৯২৯ সালে ঐ গ্রামে ফকিরের কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও কোন সময় এ ফকিরের জীবন কাল ছিল সে সস্পকে বিশেষ কিছু জানা যায়নি।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুঠি চন্দ্রখানা মৌজায় ফকিরের কুঠি গ্রামে ফকিরের মাযার অবস্থিত।
প্রতিবছর মাঘ মাসের ৪ তারিখে ফকিরের মাযারে ওরশ পালন করা হয়। সেদিন দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে এসে ওরশ পালনের পর হিন্দু- মুসলিম সবাইক মিলে নিরামিষ খিচুড়ি খেয়ে থাকেন।
অন্য মাযার থেকে এর পার্থক্য হল ফকিরের মাযারটি দৈঘে ১১হাত ও প্রস্থে প্রায় ৫ হাত। জনশ্রুতি অনুযায়ী ৪০-৫০ বছর অাগে জঙ্গল পরিষ্কারের সময় ভাঙ্গাঁ চোড়া অবস্থায় মাযারের সন্ধান পান এলাকাবাসী।
কয়েকটি বড় বন্যায় গ্রামের প্রায় সব তলিয়ে গেলেও মাযার এর জায়গাটি তলিয়ে না যাওয়ার কারণে মানুষের কাছে এর গুরুত্ব বেড়ে যায়।
একজন ক্যান্সার রোগী এখানে মানত করে রোগমুক্ত হলে তিনি মাযারটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। প্রথমে স্বাভাবিক মাযার এর মত করে নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
স্বপ্নে তাকে অারও বড় করে মাযার নির্মাণের কথা বলা হয়।
পরে জায়গাটি খনন করে পুরোনো ভিওির উপর নতুন করে মাযারটি সংস্কার করা হয়। প্রতিদন অনেক লোক ১১ হাত লম্বা মাযারটি দেখতে এখানে অাসেন।
মাযারে উদ্দেশ্য সাধনে মানতও করেন।
ফকিরের নাম ঠিকানা এবং ধর্ম সম্পকে না জানলেও ফকিরের মাযারের প্রতি রয়েছে গভীর রাস্তা। অনেকে অবার মনে করেন ফকির বিদ্রোহের কোন নেতা এখানে অাস্তানা গড়ে তুলতে পারেন।
মাযারটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি গবেষণা করে প্রকৃত তথ্য অাবিষ্কার করলে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা জানা যেত। মাযার কমিটির সভাপতি অাব্দুল করিম মাষ্টার( বীর মুক্তি যোদ্ধা) বলেন ফকিরের মাযারটি ফুলবাড়ীর ঐতিহাসিক স্থান।
প্রতিদিনই দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফুলবাড়ী -নাগেশ্বরী পাকা রাস্তা হতে মাযার পর্যন্ত যাতায়তের রাস্তাটির উন্নয়ন এবং মাযার সংলগ্ন একটি পাকা ঘর নির্মাণ করা জরুরী। এদিকে ঐতিহাসিক এই নির্দশনাটি রক্ষার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।