বিপুল আমদানির তথ্য জানিয়ে পেঁয়াজের বাজার কয়েকদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসার আশা দিয়েছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ন্যাম সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দুই-চার দিনের মধ্যে দাম কমবে।
বাজার সহনীয় করতে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বলে জানান তিনি। আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
“পেঁয়াজের দরজা তো খুলে দেওয়া হল। ইতোমধ্যেই আমি খবর পেলাম, প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ চলে আসছে, খুব শিগগিরই। তাছাড়া ১০ হাজার টন তো চলে আসবে কয়েক দিনের মধ্যেই। কাজেই চিন্তার কিছু নেই।”
এসময় রসিকতাচ্ছলে শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ না খেলে কী হয়?
“পেঁয়াজ ছাড়াও কিন্তু রান্না হয়, আমি করি, আমাদের বাসায় করে। অনেক তরকারি আছে, যা পেঁয়াজ ছাড়াও রান্না করা যায়। কাজেই পেঁয়াজ নিয়ে এত অস্থির হওয়ার কী আছে, আমি জানি না।”
আড়তদাররা পেঁয়াজ মজুদ করে সঙ্কট আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পেঁয়াজ কিন্তু অলরেডি আছে। তাছাড়া পত্রিকাতেই খবর আসছে যে অনেক স্থানে পেঁয়াজ রয়ে গেছে। কিন্তু তারা কেন বাজারে ছাড়ছে না?
“যারা এখন মজুদ করে রেখেছে, তারা কতদিন ধরে রাখতে পারবে, সেটাই বড় কথা। কারণ পেঁয়াজ কিন্তু পচে যায় আবার। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে তাদের
লোকসানই হবে, লাভ হবে না।”
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত
কথায় কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁঝ
অভিযানের পর পেঁয়াজের দাম কমল কেজিতে ২০ টাকা
পেঁয়াজ: পাইকারিতে দাম কমার প্রভাব খুচরায় সামান্য
পেঁয়াজের দর বেঁধে দেওয়ার চিন্তা
বেসামাল পেঁয়াজের বাজার, আশা নেই বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছেও
গত সেপ্টেম্বরে ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর থেকে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির।
বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। তারপর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠে যায়।

সরকারের কোনো পদক্ষেপেই কমছে না পেঁয়াজের দাম
পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক থেকে আমদানি শুরু করে সরকার। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি এবং আড়তগুলোতে অভিযানের পর দাম কিছুটা কমলেও গত কয়েকদিনে দাম বেড়ে এখন ১২০ টাকায় উঠেছে কেজি।
সরকারি হিসাবে, নিত্য পণ্য পেঁয়াজের বাংলাদেশে বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টনের মতো। দেশে উৎপাদনের পর ১০ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে।
পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতায় হতাশা প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দুদিন আগেই বলেন, এই সমস্যা আরও একমাস থাকবে। তবে মিশরের পেঁয়াজ দেশে পৌঁছলে দাম কিছু কমতে পারে।