নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সহিলদেও গ্রামে অবস্হিত স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্হায় পড়ে আছে। নেই কোন ডাক্তার,দু তলা এই ভবনটি বছরের প্রায় পুরোটা সময় ধরে বন্ধই থাকে। সপ্তাহে কোন একদিন ঘন্টাখানের জন্য একজন পিয়ন গিয়ে খুলে রাখেন।
মনমত কিছু ঔষদ দেন রোগীদের। তাও আবার নিদৃিষ্ঠ কোনদিনে নয়, যখন খুশি তখন হাসপাতাল খুলে বসেন পিয়ন। এতে করে ওখানকার স্হানীয় রোগীরা জানেননা কখন গিয়ে হাসপাতাল খুলা পাওয়া যাবে। ফলে চিকিৎসা সেবা তো দুরের কথা ন্যুনতম ঔষদও পাচ্ছেনা কেউ।এমনটাই অভিযোগ স্হানীয়দের।
সোমবার (১৩.০১.২০২০ইং) তারিখে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালটি বন্ধ রয়েছে। এসময় হাসপাতালের সামনের বাড়ীর মোঃমিঠুন মিয়া জানান, একজন মহিলা এসে মাসে এক-দুইদিন কিছু সময়ের জন্য খুলে, তাও নিয়মিত না।
উনি যখন খুশি আসেন,কিছু সময় থেকে আবার যখন খুশি চলে যান। রোগী এলে জ্বরের কিছু ঔষদ দেয় আর বলে বড় ডাক্তার আসলে সব ঔষদ পাবেন, এরপর মাসের পর মাস যায় বছরের পর বছর যায় বড় ডাক্তার আজও আসেনি।স্হানীয় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাগর জানায়, এখানে কোন চিকিৎসা হয় না। মাঝে মধ্যে একজন মহিলা এসে খুলে বসেন, আবার কিছুক্ষন থেকে সামান্য ঔষদ দিয়ে চলে যান।
হাসপাতালের পাশের দোকানদার জিয়াউর রহমান জানায়, আজ পর্যন্ত কোন ডাক্তার দেখতে পেলাম না, মাঝে মধ্যে একজন মহিলা এসে খুলে কিছু সময়ের জন্য, আবার কিছু সময় থেকে চলে যায়। কোনদিন আবার একজন পুরুষ লোকও আসে, তবে তিনি ডাক্তার নন , তাঁর অভিযোগ এই হাসপাতাল থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষদ ও কনডম সহ কোন কিছুই বিনা মুল্যে দেওয়া হয় না।
স্হানীয় বারেক মেম্বার (সাবেক) জানান ”পনেরদিন অথবা একমাস পর একজনকে এখানে আসতে দেখা যায়,আবার কিছু সময় থেকে চলে যায়। নিদৃিষ্ঠ কোন দিন বা সময়ে আসেনা,তাদের মন ইচ্ছা আসে।
ওই স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি নিয়ে স্হানীয় লোকজনের অভিযোগের কোন শেষ নেই, সবার বক্তব্য একই রকম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ সুবির সরকার জানান, ওই স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে দুই বছর যাবৎ কোন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়নি, মোহনগঞ্জ হাসপাতাল থেকে সুযোগ মত মেডিকেল এ্যসিস্টেন্ট পাঠানো হয়।
যে কারনে কোন নিদৃিষ্ঠ সময়ে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সম্প্রতি ওই হাসপাতালের জন্য একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, উনি বর্তমানে ট্রেনিংয়ে আছেন , ফিরে এসেই ওখানে গিয়ে চিকিৎসা দিবেন। বিনা মুল্যে বিতরনের জন্য দেওয়া ঔষদ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে উনি জানান, ওই হাসপাতালের ঔষদ বিক্রির নিদৃিষ্ঠ কোন অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে।