কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের পাখিউড়া সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জামাল উদ্দিন (১৯) নামের এক যুবক নিহত হওয়ার ১০ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর নিহতের বাড়ি থেকে বিকেল ৪ টার দিকে নিহতের লাশ উদ্বার করে কঁচাকাটা থানা পুলিশ। সন্ধ্যার দিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছিল।
দুর্গম কালাইরচর কারিগরপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের পুত্র জামাল উদ্দিনের বাম হাতের কনুইয়ের নিচে এবং বাম পাশের পাঁজরে গুলি লেগেছে। আগামীকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিহতের লাশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কঁচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন অর রশীদ।
এলাকাবাসী জানান, পাখিউড়া সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৩৯ এর ৪ নম্বর টি-পিলারের পার্শ্ববর্তী কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। এরই সুযোগে ওই এলাকা দিয়ে কয়েকজন গরু আনার জন্য ভারতের ভূ-খন্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের বিএসএফের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে জামালের শরীরের হাতে ও পাঁজরে গুলি বিদ্ধ হয়।
এ অবস্থায় আইনী জটিলতা এড়াতে জামালকে নিয়ে সটকে পড়ে পরিবারের লোকজন। পরে চাপের মুখে পড়ে বিকেল ৪ টার দিকে জামালের লাশ আনলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তবে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে নিয়ে যাওয়ান পথে জামালের মৃত্যু ঘটলে মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নারায়নপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাদত হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে পাখিউড়া সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে জামাল নামের এক ডাঙ্গোয়াল (রাখাল) বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর শুনে তার বাড়িতে গিয়ে কারও দেখা পাননি। পরে বিকেল ৪ টার দিকে তারা লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান স্থানীয় অধিবাসীদের বরাত দিয়ে বিএসএফের গুলিতে জামাল নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামস্থ ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানান, জামাল উদ্দিন নিহত হলেও তার লাশ ঘটনাস্হলে কিংবা সীমান্তের আশেপাশে পাওয়া যায়নি। এখন ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্তে মৃত্যুর কারণ ও প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।