গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলছে নিষিদ্ধ তামাকের চাষ। বিশেষ করে সুলতানপুর বাড়াইপাড়া ও পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামে ব্যাপক তামাকের চাষ লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিন ও কৃষকদের নিকট থেকে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে অন্যান্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি নিষিদ্ধ তামাক চাষের প্রতি দিনদিন আগ্রহ বেড়ে চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুলতানপুর বাড়াই পাড়া গ্রামের কয়েকজন তামাকচাষী আলোকিত সকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারকে জানান, বিভিন্ন তামাক কোম্পানি তামাক চাষের জন্য এবং কোম্পানি কর্তৃক জমি থেকে তামাক উঠে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে আগাম টাকা দিয়ে থাকেন।
তামাক চাষ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, একটু লাভ বেশী হয় আগাম টাকা পাওয়া যায় তাই আমরা নিষিদ্ধ হলেও চাষ করছি। তবে আমরা আইনটির বিষয়ে কিছু জানিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামের কয়েকজন তামাকচাষী বলেন, আমাদের গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার তামাক চাষ করছি।
প্রত্যেকে কমপক্ষে ১ থেকে ২ বিঘা জমিতে তামাকের চাষ করছি।বর্তমানে তামাক চাষে বেশি লাভ হয়। কারণ আগেকার মত এখন আর সবাই তামাক চাষ করে না। ফলে চড়া দামে বিক্রি করতে পারি। তাই লাভ বেশি হয় ।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার পার-আমলাগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মঞ্জুর হাসান (নাইম) আলোকিত সকাল পত্রিকাকে বলেন, তামাক চাষ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ। তবে কৃষকদের নিষিদ্ধের বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তামাকের নিকোটিন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে তামাক চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইন পাশ করেন। প্রথম দিকে এ আইন অনুযায়ী তামাকের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও বর্তমানে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।
তবে উপজেলার সচেতন মহল বলছে অতি শীঘ্রই তামাক চাষের নিষেধাজ্ঞা আইন সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচী হাতে নেওয়া না হলে সমগ্র উপজেলায় নিষিদ্ধ তামাক চাষ বেড়ে যাবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে উপজেলা প্রশাসনের উচিৎ কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্যক্ষম হাতে নেওয়া।