নীলফামারীতে- এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস বিভ্রান্তিতে সাড়ে ৪ ঘন্টায় ব্যাপী পরীক্ষা গ্রহন
মোঃ মোশফিকুর ইসলাম (চিলাহাটি - নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন স্কুল কেন্দ্রের ৯৮ জন এস.এস.সি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলো প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা। সোমবার ৩রা ফ্রেবরুয়ারী শুরু হয়েছে এস.এস.সি পরীক্ষা ২০২০ইং।
কিন্তু নীলফামারী রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের ৫ ও ৮নং কক্ষের ৯৮ জন পরীক্ষার্থী পুরাতন সিলেবাসে ২০১৮ইং সালের প্রশ্নের ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পরীক্ষা দিল।
রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ মহাফিজুর রহমান খান জানায়- পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০টায়, পরীক্ষার সময় ১ঘন্টা ৩০ মিনিট চলে যাওয়ার পর ১১টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষারত শিক্ষার্থী দায়িত্বরত শিক্ষককে জানায় স্যার এটা তো আগের সিলেবাসে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
তৎক্ষনাৎ ঐ কেন্দ্র নিয়োজিত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পুরোনো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুরাতন সিলোবাসের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন- আমাদের কেন্দ্রে পুরাতন সিলেবাস অর্থাৎ ২০১৮ইং সালের অ-নিয়মিত একজন পরীক্ষার্থী ছিল সেই পরীক্ষার্থীর জন্য প্রশ্নপত্র বের করতে গিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের এই রকম হয়রানি করার বিষয়ে তিনি বলেন, ভুলতো হয়ে গেছে এখন আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কী করার আছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহামান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান- দিনাজপুর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ১১টা ৫০ মিনিটে আবার নতুন সিলেবাসে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়।
রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিলো ৬২০ জন পরীক্ষা চলাকালিন সময় এক পর্যায়ে বাকী পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শেষ করে বের হয়ে গেলে অবশিষ্ট ৯৮ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বৃন্দরা তাদের সন্তানের কথা বললে এক পর্যায়ে স্কুল প্রশাসনের ধস্তাধস্তি হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনি ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ স্বাভাবিক করে।
এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক রিনা খাতুন জানায়- আমার ছেলে সকালে পরীক্ষা দিতে আসে এবং সে ভয়ে ভয়ে কিছু খেয়েও আসে নি। টানা ৫ ঘন্টা পরীক্ষা তারা কেমন করে দিবে ?
আর তাদের পরীক্ষাই বা কেমন হবে শুরুতেই যদি ভুল হয় শেষটা কেমন হবে। তাদের প্রথমবার ভুল প্রশ্নের পরীক্ষা নেওয়াতে আমাদের সন্তানের ফলাফল যদি খারাপ হয় বা তারা যদি পরীক্ষা অ-কৃতকার্য হয় এর দায়ভার কে নিবে ? সেই ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ২টা ২৬ মিনিটে তারা বের হয়ে জানায়- আমাদের পরীক্ষায় লিখতে হবে ৭টি সৃজনশীল প্রথমবারে আমাদের প্রায় ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখা শেষ হয়ে গেছে তারপর লক্ষ করি পুরাতন সিলেবাসে পরীক্ষা।
তারপর আমাদের আবার পরীক্ষা নেওয়া হলে লিখতে লিখতে আমাদের হাতের ব্যথা উঠে যায় আমরা ভালো করে পরীক্ষা দিতে পারিনি এবং এই বিষয়ে ফলাফল টা যে কেমন হবে জানি না। আর আমাদের ফলাফল খারাপ হলে দায়ভার কে নিবে?