রংপুর বিভাগের সর্বত্রই নিষিদ্ধ তামাকের অবাধে চাষ চলছে। তিস্তা বিধৌত জনপদ হলো নীলফামারী জেলা।
এখানকার মাটি ও মানুষের প্রকৃতি অন্যদের থেকে সরস প্রকৃতির ।
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বড়ভিটা এলাকার কৃষক নাঈম উদ্দিন বলেন,”আমার প্রায় দীর্ঘ দিন ধরেই তামাকের চাষ করছি ।আমাদের গ্রামে প্রায় এক শত পরিবার তামাকের চাষ করছি ।প্রত্যেকে কমপক্ষে পাঁচ-সাত বিঘা জমিতে তামাকের চাষ করছি ।বর্তমানে তমাক চাষে বেশি লাভ হয় ।কারন আগেকার মত এখন আর সবাই তামাক চাষ করে না ।ফলে চড়া দামে বিক্রি করতে পারি।লাভ বেশি হয় ।
২০০৭সালে গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তামাকের নিকোটিন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে তামাক চাষের নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইন পাশ করেন ।প্রথম দিকে আইন অনুযায়ী তামাকের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে ও বর্তমানে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে ।
তামাক চাষের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ নবীরুল ইসলাম বলেন,”আমার উপজেলার বড়ভিটা এলাকার কৃষক নাঈম উদ্দিন সহ যারা তামাক চাষের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানেনা তাদের তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে ।তাহলেই তামাকের অবাধে চাষ বন্ধ করা সম্ভব হবে ।এবং অতি শীঘ্রই তামাক চাষের নিষেধাজ্ঞা আইন সম্পর্কে কর্ম সূচি হাতে নেওয়া হবে ।