নিরক্ষরতা দূর করনে ব্র্যাক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী তরী
মোঃ হাবিবুর রহমান (হাবিব) নীলফামারী প্রতিনিধি
১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস ধরে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মুক্তি আসে ।কিন্তু দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবত ঔপনিবেশিক শাসনের শোষণ ও নির্যাতনে অর্থ নৈতিক মেরুদণ্ড ভঙ্গুর নব্য স্বাধীন বাংলাদেশের শত করা ৮০%মানুষ নিরক্ষর ।নিরক্ষরতা হচ্ছে একটি জাতির অর্থ নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা ।
তাই দেশের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি স্যার ফজলে হাসান আবেদ মহোদয়ের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংগঠন বিশ্বের বৃহত্তর সংস্থা ব্র্যাক বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে চালু করেন। এবং এ প্রোগ্রাম শত ভাগ শিক্ষা কার্যক্রমে সফলতা অর্জন করেন।
গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ (MDG) লক্ষ্য অর্জনের উদ্যোগে ব্র্যাক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রোগ্রামের অবদান যথেষ্ট। প্রাথমিক পর্যায় সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে সফলতা অর্জন হয়।
কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক ধসের সৃষ্টি হয়। তখন ২০১৩ সালে ব্র্যাক,মাধ্যমিক শিক্ষা প্রোগ্রাম হাতে নেয়। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত জে, এস ,সি ও এস, এস, সি পরীক্ষার ফলাফল শতভাগ পাস ও ৭০%জি, পি, এ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ব্রাক পরিচালিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা সারা দেশে মোট ১৩ টি। ১৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার দত্ত গ্রাম,আলোর দিশারী,ও ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হাওড়ে অবস্থিত।
হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে ব্র্যাক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রোগ্রামের অবদান যথেষ্ট ।কারন এখানে বর্ষা কালে দীর্ঘ ৭ মাস পথ ঘাট পানিতে ডুবে থাকে ।
তখন এক মাত্র নৌকা ই যাতায়াতের মাধ্যম ।শিক্ষার্থী দের নিয়মিত স্কুলে যাওয়া – আসার জন্য প্রতিদিন ১০০০ টাকা ভাড়ায় শিক্ষার্থী দের নৌকা দেওয়া হয় শিক্ষা প্রোগ্রাম থেকে ।তার পরেও যেন মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে ।
এ অঞ্চলের সরকারি বিদ্যালয় গুলো বর্ষা কালে দীর্ঘ দিন ধরেই নামে মাত্র শিক্ষক মন্ডলী অফিস মেইন টেইন করেন ।শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একদম সামান্য ।কারন এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নৌকার ব্যাবস্থা থাকেনা ।
একমাত্র ব্র্যাক পরিচালিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্ষা কালে শিক্ষার্থী দের জন্য নৌকার ব্যাবস্থা আছে। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে ব্র্যাক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রোগ্রামের অবদান বর্তমানে অপরিসীম।