কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে। দুধকুমার নদীর তীর ধরে চাষ হয়েছে সুর্যমূখী ফুল। জানাগেছে ভাঙ্গামোড় এলাকার চাষী আব্দুর রাজ্জাক তৈল জাতীয় ফসল চাষাবাদ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান এলাকার মানুষের খাবার তৈল হিসাবে অন্যান্য তৈলের উপর চাপ কমানোর জন্য এবং শরিষার বিকল্প উন্নত মানের তেলের জন্য আমি এই চাষ শুরু করেছি।
তিনি এই প্রথম বারের মত পরীক্ষা মুলক সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছে আশানুরুপ ফলন হলে আগামীতে আরও ব্যাপক ভাবে ফুল চাষ করার পরিকল্পনা করছে। কৃষক বলেন এক বিঘা জমিতে প্রায় ৯ থেকে ১০মন বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। এক বিঘা জমিতে খরচ হবে মোট তিন হাজার থেকে ৪হাজার টাক। ১কেজি বীজে প্রায় ৫০০গ্রাম তৈল হতে পারে।
এক বিঘা জমিতে উৎপাদন হবে প্রায় ১৫০ লিটার থেকে ১৭০ লিটার তৈল। প্রতি লিটার তৈল বাজার মুল্য সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা। প্রতি মন বীজে । আব্দুর রাজ্জাক আশা করছে অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্য়মুখী চাষ করে উন্নতমানের ভোয্য তৈল ও বীজ বিক্রি করে অধীক লাভবান হওয়ার আশা করছি।
কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানায় এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামসুজ্জামান ও কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সুর্খমূখী চাষে উৎসাহ ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে। উপজেলার নুনখাওয়া,বামনডাঙ্গা ভিতরবন্দ,হাসনাবাদ ইউনিয়নের সুর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। কৃষকগণ জানায় কৃষি অফিসের সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষ করবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন উপজেলার চরাঞ্চল সহ মোট ৫০ বিঘা জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। নুনখাওয়ার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, নাজির হোসেন, আতাউর রহমান.সফিয়ার রহমান ও আব্দুস ছামাদ সুর্যমুখী ফুলের চাষ করছে।
নাজির হোসেন বলেন অফিস থেকে সার, বীজ পেয়েছি তবে চরাঞ্চলের জমিতে পানি থাকে না, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা হলে চরাঞ্চলে ব্যাপক ফুলের চাষ করে সাবলম্ভী হওয়া সম্ভব।