নবীনগরে খাল খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা
জহিরুল ইসলাম ব্রাহ্মনবাড়িয়া সংবাদদাতা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বিভাগের অধীনে ১২ কোটি ৭৪ লক্ষ উনানব্বই হাজার টাকা ব্যয়ে নবীনগর উপজেলার যমুনা খালের ২৩ কিঃমিঃ পুনঃ খাল খননের নামে কাটা হচ্ছে সরকারী রাস্তা ও ফসলী কৃষি জমি।
খবর পেয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুম বৃহস্পতিবার(১২/৩/২০) দুপুরে শ্রীরামপুর ও কালঘড়া রাস্তায় সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রাস্তা কাটার অভিযোগে খাল খননকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ড্রেজার লিমিটেডকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নগদ ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় মোহাম্মদ মাসুম বলেন, খাল খননকারীরা রাস্তা কাটার দায় স্বীকার করায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। রাস্তাটি পুনরায় মেরামত করা ও শিডিউল মোতাবেক খাল খনন করার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বিভাগের অধীনে ১২ কোটি ৭৪ লক্ষ উনানব্বই হাজারটাকার চুক্তিমূল্যে নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর, গোপালপুর, শ্রীরামপুর, কালঘড়া,কালিপুরা, রসুল্লাবাদ, শিকানিকা, পদ্মনগর, জগন্নাথপুর, রতনপুর, ভিটিবিশারা হয়ে তিতাস নদী পর্যন্ত যমুনা খাল ২৩ কিঃমিঃ পুনঃ খনন কাজ চলমান রয়েছে।
গত ২০ জুন ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন এশিয়ান ড্রেজার নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২০ সালের ২০ জুন।
শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে কালিপুরা পর্যন্ত রাস্তা ও কালঘড়ার এলজিডির রাস্তা ও ফসলি কৃষি জমি কাটা এবং নামে মাত্র খাল খনন করার অভিযোগ এনে রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর এ সব অনিয়মের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেন।