সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পল্লীতে বসতবাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আপন চাচাত বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। নিহতের নাম শহিদ নুর (১৭)। সে উপজেলার বাদাঘাট (উ.) ইউনিয়নের টেকেরগাঁও গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের বাবা নাসির উদ্দিন (৫৫)।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট (উ.) ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের বড়টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও তথ্য সত্রে জানা যায় যে, নিহত শহিদ নুরের পিতা নাসির উদ্দিনের সাথে তার আপন চাচাত বড় ভাই মৃত নবিকুলের ছেলে গোলাম কাদির (২৬) এর সাথে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ছিল ।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (০৩,মার্চ)মঙ্গলবার সকালে নবিকুলের ছেলে গোলাম কাদির তার চাচা নাসির উদ্দিনকে মোবাইল করে গোলাম কাদিরের বাড়িতে আসতে বলে।ভাতিজার মোবাইল পেয়ে গোলাম কাদিরের বাড়িতে যাওয়া মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে গোলাম কাদির ও তার সহযোগীরা মিলে মারধর শুরু করে নাসির উদ্দিন কে । মারধরের এক পর্যায়ে ভাতিজা গোলাম কাদির তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে নাসির উদ্দিনের পেটে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। এ খবর পেয়ে নাসির উদ্দিনের ছেলে শহিদ নুর ঘুম থেকে উঠে ঘটনার স্থলে গেলে তাকেও ভারতীয় ভোজাং দিয়ে পেটে আঘাত করে গোলাম কাদির।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তার পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে শহিদ নুরকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যেই শহিদ নুর মারা যায়। এবং গুরুতর আহত নাসির উদ্দিনকে তাহিরপুর সদর হাসপাতাল থেকে সিলেটের একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়।
তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যম কে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।