গতকাল ২৯ জানুয়ারি বুধবার সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় কৃষক ও পিআইসিদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৪টায় জামালগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পিআইসি ও কৃষকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২২ নং পিআইসি সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল হক তালুকদার।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জামালগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিজ্ঞপ্তি, ইউপি নোটিশ বোর্ড, এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পেইজে নিয়মিত নোটিশ আকারে প্রচার করে, ও প্রত্যেকটি ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে পৃথক পৃথক বৈঠক করে গণশুনানীর মাধ্যমে পিআইসি নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিধি মোতাবেক কাবিটা কমিটি ও উপদেষ্টাগণের যৌথ উদ্যোগে সকল শ্রেণি পেশার লোকদের সমন্বিত করে পিআইসি কমিটি চুড়ান্ত করা হয়েছে।
তাছাড়া প্রকৃত কৃষকদের মাঝে উন্মুক্ত দরখাস্ত আহ্বান করে যাচাই বাচাই পূর্বক পিআইসি নির্ধারণ করে পিআইসিদের সাথে চুক্তিনামা করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এবং সে মোতাবেক ৬৯টি পিআইসিতে গড়ে ৫০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্ত গত ২৮ জানুয়ারি সুনামগঞ্জে পিআইসির অনিয়ম-দূর্নীতি ও জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণের দাবীতে একটি রাজনৈতিক পক্ষ মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উক্ত সম্মেলনের প্রেক্ষিতে জামালগঞ্জের সকল পিআইসি ও কৃষকগণ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, চুড়ান্ত অনুমোদিত ৬৯টি পিআইসির কোনটাতেই কোন প্রকার অনৈতিক লেনদেন হয়নি। হাওর বাঁধের কাজ সঠিক ভাবেই চলছে এবং তা যথা সময়ে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকরা এব্যাপারে কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বাক্ষরকারী বিভিন্ন পিআইসির ৯জন সভাপতি ছাড়াও অন্য সকল পিআইসির সভাপতি এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।