সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে মোটর সাইকেল ও পিকঅাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে অজ্ঞাত মহিলাসহ দু’জন নিহত হয়েছে। অজ্ঞাতনামা গুরুতর অাহত যুবককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিকঅাপ চালককে জনতা অাটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছাতক উপজেলার বড়কাপন এলাকায় ঘটেছে। খবর পেয়ে সড়কের হাইওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, সিলেট থেকে সুনামগঞ্জমুখি মোটর সাইকেল (নং-সিলেট মেট্রো ল-১১-০৩১৯) বড়কাপন পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে পিকঅাপ (নং-সিলেট মেট্রো ন-১১-০৫৯৭)’র সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটলে ঘটনাস্থলে মোটর সাইকেল অারোহী, দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের সলফ গ্রামের এখলাছুর রহমানের পুত্র, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী হাসান অাহমদ সুমন (২৩), অজ্ঞাতনামা মহিলা (৫৫) ও ২০ বছরের এক যুবক গুরুতর অাহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমন ও অজ্ঞাতনামা মহিলা মারা যান। অপর অজ্ঞাতনামা অাহত যুবককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থা অাশঙ্কাজনক বলে সূত্রে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দূর্ঘটনা কবলিত মোটর সাইকেল ও পিকঅাপ এবং লাশ উদ্ধার করে বদিরগাঁওস্থ ফাঁড়িতে নিয়ে অাসেন। দূর্ঘটনার পর পিকঅাপ চালক, দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার পার্বত্যপুর গ্রামের জনৈকের পুত্র জাবেদ মিয়াকে স্থানীয়রা অাটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ঘটনার পর সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে প্রায় অাধঘন্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল। জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ অামির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ বদিরগাঁস্থ ফাঁড়িতে রাখা অাছে। ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। মোটর সাইকেলের অারোহীর লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি অপর যুবকের পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নি বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।