চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:-
মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম চিকিৎসা কিন্তু গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায় এ মৌলিক চাহিদা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন গাইবান্ধার সাধারণ মানুষ। অল্প সংখ্যক বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও বেশিরভাগ বিভাগেই নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বাধ্য হয়ে চিকিৎসা না নিয়েই প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। রোগীর ওয়ার্ড, টয়লেট, বাথরুম, বিছানা নোংরা হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
২০০ শয্যা বিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালটিতে মেডিসিন, ইএনটি, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, অর্থোসার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। হাসপাতালে ৪২ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৮ জন। আবাসিক চিকিৎসকের পদও শূন্য। জরুরি বিভাগ সামলাতে হচ্ছে মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে। শিশু ও কার্ডিওলজিস্ট বিভাগে আছেন একজন করে জুনিয়র কনসালটেন্ট।
হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামের জন্য রোগীদের যেতে হয় বাহিরে। আর ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনে নানা সমস্যা থাকায় সেগুলো দীর্ঘদিন থেকে অকেজো। যার ফলে চিকিৎসা সেবা প্রদানে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। নিয়মিত চিকিৎসক না আসায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে। হাসপাতাল জুড়ে নোংরা পরিবেশ। টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ওয়ার্ডে ময়লা জমে মেঝে ও দেয়াল কালো রং ধারণ করেছে।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশাকরি অতি দ্রুতই এই ঘাটতি আমরা সমাধান করতে পারবো।
উল্লেখ্য, জেলার প্রায় ২৬ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৬ সালে এটি ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও লোকবল ও অবকাঠামো রয়েছে ১০০ শয্যার।