ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নে রাঘবপুর রেলগেইট হতে মহজুমপুর পর্যন্ত ত্রান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ১ কিঃ মিঃ রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সরে জমিনে দেখা যায়, ১০ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি খনন করে রাস্তা নির্মাণ কাজের বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে তা খনন করা হয়েছে মাত্র ২ থেকে ৬ইঞ্চি। ব্যাবহার করা হচ্ছে বালু নামের মাঠি ও নিম্ন মানের ভাঙা গুরা ইট।
এব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান ফজল মেম্বার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রকল্প চেয়ারম্যান হলেও রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে তা আমাকে জানায়নি। রাস্তা খনন করা হয়নি, যে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে এগুলো আসলে মাঠি। আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তিনি রাস্তা পূনরায় খনন করে এবং এই বালু নামের মাঠি পরিবর্তন করে সিডিউল মোতাবেক কাজ করবেন।
ঠিকাদার মোঃ খোরশেদ আলম এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শে রাস্তা খনন একটু কম করেছি। ইটগুলো একটু উঁচু থাকলে রাস্তা টিকসই বেশি হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বিজয় নগর গ্রামের রাস্তা পরিদর্শন করে আসছি কাজ ভাল হচ্ছে। আগামীকাল মহজমপুরের রাস্তা পরিদর্শনে যাব।
চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফারুকুল ইসলাম রতন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি খনন করে ১ নাম্বার বালু এবং ইট ব্যবহার করে সিডিউল মোতাবেক রাস্তা নির্মাণ কাজ করতে হবে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি, কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি আমার কাছে প্রশ্রয় পাবে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা পূনরায় খনন করে ১ নাম্বার ইট বালু দিয়ে নির্মাণ কাজে আসস্ত করে ছিলেন প্রকল্প চেয়ারম্যান ফজল মেম্বার। বাস্তবে তার কোন মিল নেই। রাস্তা পূনরায় খনন না করে তিনি তার ইচ্ছেমতই নিম্ন মানের বালু ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা আরও বলেন, দীর্ঘ দিনের অবহেলিত ইউনিয়ন ৭নং চর নিলক্ষীয়া। এতদিন ইউনিয়নে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফারুকুল ইসলাম রতন নির্বাচিত হওয়ার পর মহজুমপুর এবং বিজয় নগরে দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ বরাদ্দ হয়েছে।
আমরা আশাবাদী চেয়ারম্যান মহোদয় রাস্তা নির্মাণ কাজে নিজে সুনজর রাখবেন। যাতে করে কোন প্রকার অনিয়ম ও দূর্নীতি ঘ্রাস করতে না পারে।