গ্রেফতারকৃত ডাকাতের শিকারুক্তি থাকা সত্বেও চার ডাকাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলোনা জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
গাজীপুর থেকে সাইদুর রহমান (সাঈদ)
গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের হালডোবা এলাকায় দুই ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ স্থানীয়রা আটক করে হোতাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর তাদের সন্দেহভাজন ৫৪ ধারায় সাধারণ ডায়েরি নম্বর (১০৯৯) করে চালান দিয়েছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো সদর উপজেলার হালডোবা গ্রামের আ. ছালামের সন্তান নাছির ও ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার সনকান্দা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের সন্তান আশিক।
ডাকাতি প্রস্তুতির সময় সঞ্জীব চন্দ্র সরকার (৩০) নামের এক যুবকের ডান হাতে কোপ দেয় ডাকাতরা। এরপর আহত সঞ্জীবের ডাক চিৎকারে লোকজন জড়ো হতে দেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। সঞ্জীব শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মোনমোহন সরকারের সন্তান। তিনি এন.এ.জেড নামক একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরী করেন। সে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ঢাকা- কাপাসিয়া সড়কের হালডোবাব্রীজের কাছে পৌছলে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা হামলা করে। সঞ্জীব অন্ধকারে কাউকে চিনতে না পারলেও আটককৃতদেরই সন্দেহ করছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় জনতার হাতে অভিযুক্তরা আটক হয়। পরে তাদেরকে হোতাপাড়া ফাঁড়ির এএসআই মোশারফ রামদা ও বেশ কিছু লাঠিসহ গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর আটক করা একজন আসামি তাদের সহযোগী আরও চারজনের নাম বলে। একটি ভিডিওতে এই বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই চারজনের নাম পুলিশ লিখে আনলেও তাদেরকে সন্দেহভাজন থেকেও রেহাই দেওয়া হয়।
শিকারুক্তি দেওয়া ওই সহযোগী চারজন হলেন, হালডোবা গ্রামের মোস্তফার সন্তান মামুন, একই গ্রামের তোফাজ্জলের সন্তান জুনায়েদ ওই এলাকার আ. খালেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাকিরের সন্তান রাকিব ও আনোয়ারের সন্তান সুমন মিয়া।
পুলিশ তাদের ডাকাতি অথবা অস্ত্র মামলা কোনোটাই দেয়নি। শুধু তাই নয় তাদের নাম ৫৪ ধারা (সাধারণ ডায়েরি) সন্দেহভাজনেও নেই। এ ব্যপারে এলাকার সাধারণ জনগনের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এএসআই মোশারফ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ওই রাস্তা রাতে খুবই অন্ধকার থাকায় তারা লোকজনের থেকে ডাকাতি করে থাকে। গতরাত সাড়ে আটটায় জনতা আটক করে খবর দিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে একটি রামদাসহ কিছু লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদেরকে ৫৪ এ (অর্থাৎ সন্দেহভাজন) চালান দেওয়া হয়েছে। দেশিয় অস্ত্রসহ পেয়েও এই মামলা কেন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনায় কাউকে দোষী পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।