গাইবান্ধা জেলায় শীতের প্রকোপে বেড়েছে শিশুর ডায়রিয়া। গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছে ৫৯ শিশু।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য মাত্র ২০টি আসন রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন হাসপাতালে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি হওয়ায় জায়গা দিতে পারছে না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ফলে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। এক শিশুর অভিভাবক জানান, হঠাৎ করেই তার দেড় বছরের শিশুটি বমি করতে থাকে। পরে বমির সঙ্গে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। ঘনঘন বমি ও পায়খানার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালে ভর্তির পর স্যালাইন দিয়েছে কিন্তু এখনও কোনও উন্নতি হয়নি।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ সুলতান আহম্মদ জানান, শীতের শেষে রোটা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা এই ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণত দুই-তিন দিন সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত এ ডায়রিয়ার স্থায়িত্ব থাকতে পারে।
অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অস্থির না হয়ে শিশুদের পানিশূন্যতারোধে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও রাইস স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।