গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ তে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মৌখিক সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারী সবার প্যানেলে (লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে নিয়োগ) নিয়োগ চেয়ে মানববন্ধন করেছে চাকরি প্রত্যাশীরা। সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে গাইবান্ধার ডিবি রোডে আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এরমধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে বাদ পড়েন প্রায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন চাকরি প্রার্থী। আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও ২০১৮ সালের নিয়োগ কার্যক্রমে প্যানেল গঠনের জন্য এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এছাড়াও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ দ্রুততার মধ্যে শেষ করাসহ নিয়োগ কার্যক্রমে সকল ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের গাইবান্ধা জেলা শাখার সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, মো. আলাল মিয়া, শামছুল আলম প্রধান, মোছা. মনিষা খাতুন, মো. মিজানুর রহমান, রানা মন্ডল, ফারুক হোসেন, তৌহিদ হোসেন, শাহাদৎ হোসেন, শ্রী জীবন প্রমূখ। সংগঠনের গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোনো সার্কুলার হয়নি। এরমধ্যে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। ফলে বিদ্যালয়ে শূন্য আসনের ভিত্তিতে এই ৩৭ হাজার ১৪৮ জনকে নিয়োগে সুপারিশ করতে হবে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রাথমিকের সর্বশেষ নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্যানেল করে নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাই।