কুড়িগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী বাবলু মিয়াকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি রাফিউল আলম এ আদেশ দেন।
এ সময় বাবলু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবলু জেলার সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কাচিচর গ্রামের ছমির জালালের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার অনুমতি না দেওয়ায় ২০০৮ সালে বাবলু তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে হত্যা করে রশিতে ঝুলিয়ে রাখেন এবং এ হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় আনোয়ারার বড় ভাই ইউনুছ আলী ২০০৮ সালের ১৯ এপ্রিল বাদী হয়ে বাবলু, তার বাবা ছমির জালাল, মা বাছিরন বেগমসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত ও পুলিশি তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণে আনোয়ারার মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণ হওয়ায়, দীর্ঘ এক যুগ শুনানি শেষে আদালত বাবলুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে আসামি করে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মামলা করলেও চার্জশিটে শুধু আসামি বাবলুর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
দীর্ঘ শুনানির পর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।