আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থী
মোঃ হাবিবুর রহমান (হাবিব) নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভূলিতে পারি? ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে একুশে ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ প্রাচীন কাল থেকে ধন-সম্পদে ভরপুর যেমন,তেমনি শিল্পীদের আঁকা ছবি ও অপরূপ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শিল্পীরা সেজে উঠেছে নানা শিল্প কর্মে।
তাই আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো ও পূর্ণ ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের বিভিন্ন কর্ম সূচির জন্য। মাতৃভাষা চর্চার জন্য আজ আমরা যে স্বাধীনতা পেয়ে ছি তা হারিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ১৯৫২ সালে যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন যে, উর্দু হবে পাকিস্তানের এক মাত্র রাষ্ট্রভাষা।
তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। এবং সারা দেশে হরতাল পালিত হয় ।সরকার ঐ আন্দোলনকে দমন করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেশ। পারের দিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ সর্ব স্তরের সাধারন মানুষ তা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত ।ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রা দশ জন করে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।মিছিল বের করে। শিক্ষার্থী দের মিছিলে পুলিশের গুলিতে জব্বার, রফিক, কিশোর অলিওর সহ নাম না জানা আরো অনেকে।
তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষা পেয়েছি ।
তাদেরই স্মরণে স্থাপিত হয় শহিদ মিনার। তাই আমাদের উচিত প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা।
এরই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক পরিচালিত ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিক্ষার্থী দের দেওয়াল পত্রিকা। তৈরীতে ব্যস্ত শিক্ষার্থী রা বলেন আমরা আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করব।